স্বদেশ রিপোর্ট:
টানা ১১ দিনে নিউইয়র্কের আন্দোলনে জন সম্পৃক্ততা আরও বেড়েছে। ব্রুকলিন থেকে ম্যানহাটন, কুইন্স, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে ৬ জুন অন্তত ৩০ টি স্থানে সমাবেশ হয়েছে। নিউইয়র্কে নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম স্থাপনা ম্যানহাটনের ইউনিয়ন স্কয়ার। সেখানে হাজারো বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্লোগান দিচ্ছিলেন প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল স্যান্যাল। তিনি জানালেন, গত কয়েক দিন থেকে চলমান আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা এ অভিবাসী বললেন, এ আন্দোলন কৃষ্ণাঙ্গদের আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন আমাদের সবার। এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশিদেরও আহ্বান জানান।
একই সমাবেশে যোগ দেওয়া ‘সেক্যুলার মুভমেন্ট ফর বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের আহ্বায়ক শুভ রায় বলেন, ক্ষোভ আর দ্রোহের এ উচ্চারণ শুধু আমেরিকার নাগরিকদের উচ্চারণ নয়। বৈষম্য আর বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মানবতার এ আহ্বানে বিশ্বের সব অধিকার সচেতন মানুষের সম্পৃক্ত হওয়ার সময় আজ।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক আফ্রিকান-আমেরিকানকে গত ২৫ মে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নির্যাতন করেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক চাওভিন। এতে সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। ২৬ মে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ গত ১১ দিন থেকে বড় বড় নগরীতে হয়েছে। ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। প্রায় ১২ হাজার লোক এ আন্দোলনে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।